করোনা মহামারিতে পরপর দুবছর তা বন্ধ থাকায় বেকার হয়েছেন শিল্পীরা। প্রণোদনার দাবিতে অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন আন্দালুসিয়ার ঐতিহ্যবাহী ফ্ল্যামেঙ্কো শিল্পীরা।
স্পেনের ঐতিহ্যবাহী ফ্ল্যামেঙ্কো শিল্পের খ্যাতি জগতজুড়ে। স্প্যানিশ লোকশিল্পের এই ধারা আবেগময় সংগীত, বলিষ্ঠ গায়কী এবং ব্যাতিক্রমী নাচের জন্য পরিচিত।
ফ্যাশনের স্বকীয় একটি ধারাও গড়ে উঠেছে এই শিল্পকে ঘিরে। আন্দালুসিয়ার রাজধানী সেভিল শহরে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় ফ্ল্যামেঙ্কো ফ্যাশন শো। যেখানে শুধু পোশাক নয় নিজেদের সংস্কৃতিও তুলে ধরেন শিল্পী ও ডিজাইনাররা।
করোনার কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে এই শিল্প। পরপর দুবছর স্থগিত হয় ফ্ল্যামেঙ্কো ফ্যাশন শো। নেই পর্যটকদের আনাগোনা। বেকার হয়ে পড়েছেন শিল্পীরা। প্রণোদনার দাবিতে রঙবেরঙের পোশাকে গানের সুর আর নাচের তালে এই অভিনব প্রতিবাদ শিল্পীদের।
ফ্ল্যামেঙ্কো ফ্যাশন শো আয়োজন করে প্রতিবছর অন্তত ৬শ মিলিয়ন ইউরো আয় করে স্পেন। এতে জীবিকা নির্বাহ করে আন্দালুসিয়া অঞ্চলের হাজার খানেক পরিবার।