অধিকার ডেস্ক :: সিলেট নগরীর মির্জাজাঙ্গাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিলেট মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি পিযুষ কান্তি দেসহ চারজনকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে দিকে মির্জাজাঙ্গাল এলাকার পিযুষের আস্তানা ঘেরাও করে তাদের আটক করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে। আটককৃত কয়েকজনের পরিবারও এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তবে পিযুষসহ অন্যদের আটকের বিষয়টি এখন পর্যন্ত পুলিশসহ কোনো বাহিনী নিশ্চিত করেনি।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মুসা বলেন, পুলিশ তাদের আটক করেনি। র্যাবের কাছে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।
বিষয়টি জানতে র্যাব-৯ এর মিডিয়া কর্মকর্তা সিনিয়র এডিশনাল এসপি মো. মনিরুজ্জামানের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি।
র্যাব-৯ এর মিডিয়া শাখায় যোগাযোগ করা হলে তাদের কাছে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
তবে প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মির্জাজাঙ্গালে পিযুষের আস্তানা ঘেরাও করে ফেলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য। এরপর ভেতর থেকে পিযুষসহ চারজনকে ধরে গাড়িতে করে নিয়ে যায় তারা।
সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক পিযুষ কান্তি দে’র বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মারধরসহ নানা অভিযোগ রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের এই নেতার বিরুদ্ধে। নগরীর জিন্দাবাজার-লামাবাজার সড়কের মির্জাজাঙ্গালে আস্তানা গড়ে তুলে নিজের কর্মীবাহিনী দিয়ে মানুষজনকে হেনস্তারও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি তিন প্রবাসীকে পিযুষ অনুসারীরা মারধর করে। এনিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
গত ৬ আগস্ট জিন্দাবাজারে পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্টের সামনে তিন প্রবাসীর উপর হামলা চালায় পিযুষ অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মীরা। এতে গুরুতর আহত হন তারা। এ সময় তাদের প্রাইভেটকারও ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় ৭ আগস্ট আহতদের চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এই মামলার পর থেকে নিজেকে অনেকেটাই গুটিয়ে নেন পিযুষ। গ্রেপ্তার এড়াতে নিজের আস্তানায়ও অনেকদিন অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। বুধবার ফের আস্তানায় ফিরেই আটক হন পিযুষ।