অধিকার ডেস্ক:: বাংলাদেশ কৃষক সমিতির উদ্যোগে সরকারি মূল্যে কৃষকদের পর্যাপ্ত বীজআলু ও ভেজালমুক্ত সার বিতরণের দাবিতে আজ ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক ‘কৃষকবন্ধন’ কর্মসূচি পালিত হয়।
কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কৃষক নেতা নিমাই গাঙ্গুলীর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক
সাজ্জাদ জহির চন্দন, সহ-সাধারণ সম্পাদক আবিদ হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত শফি চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য রোমান হায়দায়, লাকি আক্তার, মানবেন্দ্র দেব, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরিফুজ্জামান শরিফ, মোবারক হোসেন ঝন্টু, মানিকগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. সেতোয়ার হোসেন, গাজীপুরের কৃষকনেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, ঢাকা জেলার কৃষকনেতা জামাল হোসেন প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এ বছর আলু চাষের মৌসুমে কৃষকরা জমি তৈরি করে বীজআলুর সংকটে আলু চাষে অনিশ্চয়তার মধ্যে পরেছে। এ বছর সিন্ডিকেটগোষ্ঠীর কারসাজিতে আলুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কোল্ডস্টোরেজে বীজ আলু বেশি দামে আগেই বিক্রি করার ফলে চাষের জন্য বীজআলুর সংকট দেখা দিয়েছে। বিএডিসি’র আলুর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম পরিমাণ বীজআলু মজুদ রাখা হয়। ফলে বীজআলুর অভাবে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পরেছে। এই সুযোগে অসৎ ডিলার ও বীজ আলু বিক্রেতারা সরকার জাত ভেদে ২৭ টাকা থেকে ২৯ টাকা কেজির বীজআলু ৫০ টাকা বিক্রি করছে। বীজআলু সংকটের কারণে কৃষকরা আলু চাষে নিরুৎসাহিত হওয়ায় আগামীতে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা আলুর দাম বাড়িয়ে দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও আলুসহ ধান, সবজি চাষে প্রচুর সার কিনতে হয় কৃষককে। সারের পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও ডিলাররা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কৃষক পর্যায়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছে। সরকার নির্ধারিত দামের বেশি দামে সার বিক্রির নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে নজরদারি না থাকায় এবং স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশে ডিলাররা বেশি দামে সার বিক্রি করছে। ফলে কৃষকের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেলেও ফসল বিক্রি করতে দাম না পেয়ে প্রতি বছরলোকসান গুণতে হয়।
বাংলাদেশ কৃষক সমিতি অবিলম্বে সরকারি দামে কৃষক পর্যায়ে পর্যাপ্ত বীজআলু ও ভেজালমুক্ত সার বিতরণের ব্যবস্থা না করলে গ্রাম পর্যায়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে।
নেতৃবৃন্দ বিএডিসি’কে সক্রিয় ও সক্ষম করে গড়ে তুলে কৃষকদের সার-বীজকীটনাশকসহ যাবতীয় কৃষি উপকরণ সরবরাহের দাবিতে কৃষিমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন।