অধিকার ডেস্ক:: পঞ্চগড়-দেবীগঞ্জ সড়কের রাঙ্গাপানি সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পঞ্চগড়-দেবীগঞ্জের যাতায়াতের একমাত্র এই সড়কটির যোগযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় দেবীগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় লাখো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
জানা গেছে, কয়েকদিনের টানা বর্ষণ আর উজানের ঢলে পানির তোড়ে বৃহস্পতিবার পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার বুড়িতিস্তা নদীর খয়েরবাগান এলাকার রাঙ্গাপানি সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে যায়। ফলে দেবীগঞ্জ উপজেলার সদরের সঙ্গে দেবীগঞ্জ, ট্রেপিগঞ্জ, চিলাহাটি, শালডাঙ্গাসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। জরুরি প্রয়োজনে দেবীগঞ্জ যেতে এসব এলাকাবাসির ১৫ কিলোমিটার ঘুরে পার্শ্ববর্তী ডোমার ইউনিয়নের মির্জাগঞ্জ দিয়ে উপজেলা সদরে যেতে হচ্ছে।
খয়েরবাগান এলাকার সাইফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে সেতুটি ভেঙ্গে যায়।
দেবীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তোরাব সরকার জানান, রাঙ্গাপানি সেতুর উভয় পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় একেবারে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেতুর পূর্বে প্রায় ১০০ ফুট এবং পশ্চিম পাশে প্রায় ৫০ ফুট সড়ক পানির তোড়ে সরে গেছে। সেতুটিও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
টেপ্রিগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান সরকার বলেন, সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় চলাচলকারীরাসহ কৃষকদের পণ্য সরবরাহে মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে। দেবীগঞ্জ উপজেলা সদরে যেতে হলে আমাদের ১৫ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হচ্ছে। কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে ট্রেপিগঞ্জ ইউনিয়ন, দেবীগঞ্জ ও চিলাহাটি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রত্যয় হাসান বলেন, পানির তোড়ে ওই সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে গেছে। ব্যস্ত সড়কটি এখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কিন্তু নদীতে স্রোত বেশি থাকায় সড়কটি এখন মেরামত করা সম্ভব নয়। পানি কমে যাওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। বিকল্প ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
পঞ্চগড় স্থানীয় সরকার বিভাগ এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম আকন্দ জানান, পঞ্চগড় স্থানীয় সরকার বিভাগ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুজ্জামান, দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রত্যয় হাসান, উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।
নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় শিগগিরই সংযোগ সড়ক মেরামত করার সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছে তিনি।