জয়পুরহাট প্রতিনিধি:: ২৪ আগস্ট নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসে(ইয়াসমিন হত্যা) জয়পুরহাটে সকাল ১১ টায় পাঁচুর মোড়ে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম ও ছাত্র ফ্রন্টের মানববন্ধন।
মহিলা ফোরামের জেলা আহ্বায়ক রোকেয়া রহমানের সভাপতিত্বে উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা বাসদের আহ্বায়ক কমরেড ওয়াজেদ পারভেজ, সদস্য সচিব, সামিউল ইসলাম বাবু,মহিলা ফোরামের সদস্য সুন্দরী উঁড়াও, জেলা ছাত্র ফ্রন্টের দপ্তর সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম সদস্য কমরেড দেওয়ান মো বদিউজ্জামান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললেই নারী ও শিশু নির্যাতন চোখে পড়ে যা এখন একটি অতি সাধারন বিষয়ে পরিনত হয়েছে।বুর্জোয়া অধঃপতিত ভোগবাদি সমাজে নারীদের শুধুমাত্র ভোগের পণ্য হিসেবেই ভাবা হয় যার ফলে আজকে সমাজের এই দুরাবস্থা।প্রতি বছর ধর্ষণ,খুন,ইভটিজিং আমাদের দেশের দুস্থ মহিলাদের বিভিন্ন দেশে পাচার করা,নারী- শিশু গুম- খুন থেকে শুরু করে অসংখ্য নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে যার তিন ভাগের এক ভাগ আমরা বিভিন্ন পত্রিকায় খবরে দেখি বাকি দুই তৃতীয়াংশ কোন খবরে আসে না।
বক্তারা বলেন, ইয়াসমিন ছিলো মাত্র ১৪ বছরের বয়সের একজন শ্রমজীবী কিশোরী। এই বয়সে একটা মেয়ের স্কুলে যাওয়ার কথা কিন্তু সে গার্মেন্টস কর্মী। ১৯৯৫ সালে বাড়ী যাওয়ার পথে পথের নিরাপত্তাহীনতার কি ভয়াবহ রুপ তা আমরা দেখেছি। নাগরিকদের বিভিন্ন সুবিধা, যানমাল রক্ষায় যাদের দায়িত্ব সেই পুলিশবাহিনি কর্তৃক নির্মমভাবে নিপীড়ন নির্যাতনের পর ইয়াসমিন কে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।আজ থেকে ২৫ বছর আগের ঘটনা কিন্তু সময় পেরোলেও পুলিশ ও রাষ্ট্রের ভূমিকা আরও ভয়ংকর হয়েছে। যে নারী সভ্যতা নির্মাণে ভূমিকা রেখেছে সর্বোপরি সমস্ত জায়গায় আজ বিচরন করেছে। সমস্ত গৃহস্থালির কাজ যারা নিজ হাতে সুনিপুণ ভাবে করে প্রতিদিন ৪৫-৪৬ ধরনের কাজ করে।গড়ে একজন নারী ঘরে ১৬ থেকে ২০ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করে।কিন্তু রাষ্ট্র এবং শাসক শ্রেণির মুনাফার লালসায় সেই নারীদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।তাই আসুন সমস্ত অন্যায়,নির্যাতন, নিপীড়নের বিরুদ্ধে একটি জনগনের শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করার সংগ্রামে শামিল হই।