বোয়ালখালী প্রতিনিধি:: যন্ত্রসঙ্গীতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক প্রাপ্ত ঢোলবাদক বিনয়বাঁশী জলদাসের ১০৯তম জন্মবার্ষিকী বিনয়বাঁশী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি উত্তম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে বোয়ালখালী পৌরসভার পূর্ব গোমদন্ডী বিনয়বাঁশীর বাস্তুভিটায় নির্মিত ‘প্রতিকৃতি ভাষ্কর্য’ মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়।
১ অক্টোবর সকালে অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে ২০১৩ সালের ৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর ডি কে দাশ মামুনের হাতে তৈরি বিনয় বাঁশীর ভাস্কর্যে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দরা।
বিনয়বাঁশী শিল্পীগোষ্ঠীর পরিচালক শ্রী বিপ্লব জলদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোয়ালখালী পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক জহুরুল ইসলাম জহুর। বিশেষ অতিথি ছিলেন বোয়ালখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মোঃ সিরাজুল ইসলাম উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন বিনয়বাশি জলদাসের পুত্র বাবুল জলদাস। সংস্কৃতিকর্মী লুৎফর রহমান কামাল। এতে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ বিধান দাস, কালীপদ দাস, দোলন জলদাস,রতনা নাথ দাশ, পিংকি দাস, নীলা দাস, অর্পিতা ঘোষ, দেবী ঘোষ, সীমু দাস, নান্টু দাস, প্রীতি দাস প্রমুখ।
উল্লেখ্য বিনয় বাঁশী জলদাস ১৯১১ সালের ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব গোমদন্ডী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা উপেন্দ্র লাল জলদাস এবং মাতা সরবালা জলদাস। তিন ভাইয়ের মধ্যে বিনয় সবার বড়। তার অপর দুই ভাই হলেন ধীরেন্দ্র জলদাস এবং রবীন্দ্র জলদাস।[২] শৈশবে রামসুন্দর বসাকের কাছে বাল্যশিক্ষা গ্রহণ করেন। পাশাপাশি তালিম নিতেন ঢোল বাজানোর। কিন্তু পরে রমেশ শীলের সাথে বাজাতে গিয়ে তার ঢোল বাজানোর অদক্ষতা ফুটে ওঠে। পরে তিনি তার পিতার বন্ধু ত্রিপুরাচরণ জলদাসের কাছ থেকে ঢোল বাজানোর কলাকৌশল রপ্ত করেন।
গুণী এই শিল্পী ২০০২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। দুই মাস এই রোগে ভোগে ৫ এপ্রিল সকালবেলা মৃত্যুবরণ করেন ।