অধিকার ডেস্ক::কুষ্টিয়া শহরে এক দোকান কর্মচারীকে হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি আদালতে উপস্থিতি ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া শহীদ লিয়াকত আলী সড়কের বাসিন্দা লিটন। রায় ঘোষণার পর তাঁকে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ২০ জুন রাতে খন্দকার ইয়াছিন আরাফাত শহরে এনএস রোডে কাজ শেষে করে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় আড়ুয়াপাড়ায় একটি দোকানের সামনে দাঁড়ালে আসামি লিটন পূর্বশত্রুতার জের ধরে ইয়াছিনকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। এরপর লিটন দৌড়ে পালিয়ে যান। স্থানীয়রা ইয়াছিনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ২১ জুন রাত ১১টায় ইয়াছিন মারা যান।
এ ব্যাপারে নিহত ইয়াছিনের বাবা খন্দকার মো. সামসুল আলম বাদী হয়ে লিটনকে আসামি করে ২৩ জুন কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এম সহিদুল ইসলাম আংশিক তদন্ত করেন। পরবর্তীতে মামলাটি সিআইডিতে বদলি হয়। সেখানে পুলিশ পরিদর্শক নিকুঞ্জ কুমার কণ্ডু তদন্ত শেষে লিটনের বিরুদ্ধে একই বছরের ১৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলার বিচার শুরু হলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী লিটনের শাস্তির খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।আসামিপক্ষের আইনজীবী মীর আরশেদ আলী আপিলে করবেন বলে জানান।